সমবায় পতাকা ও দিবস
“সাত রংগা সমবায় পতাকা” যা আজ সারা বিশ্বে সমবায়ের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, তা সর্বপ্রথম ফ্রান্সের প্রফেসর চার্লস ফুরিয়ার গাইড কর্তৃক প্যারিসে আয়োজিত ‘কৃষি শিল্প কর্মশালায় উত্তোলন করা হয় । উল্লেখ্য যে, প্রফেসর চার্লস গাইড সমবায়ের উপর একটি ছোট্ট পুস্তিকা রচনা করেন । এতে তিনি সাত রং এর সমন্বয়ে একটি সমবায় পতাকা তৈরির সুপারিশ করেন । পরে 1896 সালে প্যারিশে অনুষ্ঠিত আই-সি-এর দ্বিতীয় কংগ্রেসে সাত রংকে সমবায়ের প্রতীক হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। অত:পর 1920 সালে অনুষ্ঠিত আই-সি-এর সম্মেলনে অধ্যাপক চার্লস গাইডের পূর্ব প্রস্তাবিত সাত রংগা পতাকাকে আন্তর্জাতিক ভাবে ‘সমবায় পতাকা’ হিসেবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । 1924 সালে অনুষ্ঠিত আই-সি-এর কংগ্রেসে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলন করা হয় । এর পর প্রতি বছর জুলাই মাসের প্রথম শনিবারে সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে সাত রংগা সমবায় পতাকাটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলন করা হয় ।
সমবায়ের সাত রংগা পতাকা সম্পর্কে প্রফেসর চার্লস গাইডের সুপারিশের মূলে যে অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ছিলো তা নিম্নরূপ :
পৃথিবীতে যত প্রকার রং আছে তার মধ্যে সাতটি রং হলো প্রধান, যথা : বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল । এদের আদ্যক্ষরগুলোকে এক শব্দে সাজিয়ে বলা যায়, ‘বেনীআসহকলা’ । আর এগুলোর ইংরেজি প্রতিশব্দ দাড়ায়, ‘VIBGYOR ’ অর্থাৎ Violet, Indigo, Blue, Green, Yellow,Orange and Red.
তাছাড়া সমবায় বিশ্বে আরেকটি দিন বিশেষ ভাবে পালিত হয়, তা হলো “জাতীয় সমবায় দিবস” । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে উক্ত দিবসটি উদযাপিত হয় । বাংলাদেশ তা উদযাপিত হয় প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবারে । জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমবায়ের এ সাত রংগা পতাকাটি সারম্বরে উত্তোলন কার হয় ।
*******
(তথ্য সংগ্রহিত)
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস